১/৪/২ বৃঃ উপনিষদ্ মানুষের অরণ্যের মাঝে আমি বিদেশী পথিক, মুখোমুখি কথা বলি—চোখে লাগে অটল প্রাচীর বিদেশী পথিক আমি এসেছি কি বিধাতার ভুলে পৃথিবীর সভাগৃহে, বুঝি নাকো ভাষা যে এদের। প্রকৃতির বুদোয়ারে এসে পড়ি বিদেশী বর্বর, বর্বর জানে না…
শীতের উন্মুক্ত রৌদ্র কালো তার কেশে হ্রস্ব বন্ধহীন কেশে অন্ধকার কুঞ্চনে কুঞ্চনে, হীরার ঝরনা ছড়িয়েছে যেন শত উৎসুক আঙুল পাহাড়ের ছায়াচ্ছন্ন কৃষ্ণ বক্রিমায়। ঢালো রৌদ্র, আলোক ছড়াও কৃষ্ণ কেশে, সুকুমার শুভ্র ললাটেও, আর তার উত্তোলিত বাহুতে নিটোল। আলোক-সোনাটা…
ঘন গ্রীষ্মতাপ। বিশ্বের উত্তপ্ত দাহ আজ বুঝি জমায়েত ভিড় বেঁধেছে এখানে দানা আমাদের পাশে? জমেছে গুমোট। আমবনে ফল আজ পেকে ওঠে সম্পূর্ণ রঙিন পরিপক্ক ফল আজ পড়তে তো পারে না মাটিতে গরমে যে নিরেট বাতাস। শ্রান্তি বয়ে ব’সে দোঁহে…
শুভ্রকেশ ঢেউ ছেড়ে, সমুদ্রের আলিঙ্গন ছিঁড়ে এপ্রিল তো চলে গেল হাস্যলঘু নেয়াড্ আমার চলে গেল চপল হাওয়ায় রেখে গেল খর রৌদ্রালোক। শূন্য হল তীর রৌদ্রালোকে তীর হল শুষ্ক মরুভূমি। বালুকণা ধরে রৌদ্রে তরল মদের স্বচ্ছ রঙ। চলে গেল স্নানস্বচ্ছ লঘুদেহ…
বট আর অশথের ছায়াঘন কালো ভয়গুলি পথের উপরে পড়ে আমাদের প্রতি পদক্ষেপে। চাঁদ হল দূর থেকে আলোর ইশারা, অন্ধকার মুখোমুখি হাতছানি দেয় আমাদের। রাত্রি আজ স্তব্ধতার দিঘি, তার উপরে রাত্রির শব্দেরা অবিরত পড়ে টুপটাপ। অন্যমনে চলেছি দুজনে —অকস্মাৎ ডাকলে…
পাণ্ডু মুখে তার সূর্যাস্তের বর্ণচ্ছটা ঐশ্বর্যের প্রদীপ্তি ছড়ায় স্পর্শধন্যতায়। মুখখানি তার দিশাহারা অস্তরাগ, থমকায় গোলাপের বনে আর চেয়ে থাকে মুক্তপক্ষ নভচারী উৎক্রোশের দিকে। বলি আমি পল্লবমর্মরে, তোমার নয়নে, লিলি পর্বতের সরোবর পেয়েছে ব্যঞ্জনা শিখর প্রশান্ত, স্থির, স্বচ্ছ ও অতল।…