
তুমি কেমন গো (প্রেমের কবিতা) – মলয় রায়চৌধুরী
তুমি কেমন গো তোমার কবিতা যেন কেমন-কেমন এরকম লেখো কেন ভালো কবিতা লিখতে পারো না অন্য সবাই যেমনটা লেখে ? জিগ্যেস করল তরুণী বললুম : এরকম মানে ? এরকম মানে কেমন যেন বাউল বাউল দেহতত্ব তোমার কবিতা জুড়ে…

তুমি কেমন গো তোমার কবিতা যেন কেমন-কেমন এরকম লেখো কেন ভালো কবিতা লিখতে পারো না অন্য সবাই যেমনটা লেখে ? জিগ্যেস করল তরুণী বললুম : এরকম মানে ? এরকম মানে কেমন যেন বাউল বাউল দেহতত্ব তোমার কবিতা জুড়ে…

ওঃ মরে যাব মরে যাব মরে যাব আমার চামড়ার লহমা জ্বলে যাচ্ছে অকাট্য তুরুপে আমি কী কোর্বো কোথায় যাব ওঃ কিছুই ভাল্লাগছে না সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাব শুভা শুভা আমাকে তোমার তর্মুজ আঙরাখার ভেতর চলে যেতে দাও চুর্মার অন্ধকারে…

চাদোয়ায় আগুন লাগিয়ে তার নীচে শুয়ে আকাশের উরন্ত নীল দেখছি এখন দু:খ কষ্টের শুনিনি মুলতুবি রেখে জেরা করে নিচ্ছি হাতের রেখার ওপর দিয়ে গ্রামাফোনের পিন চালিয়ে জেনে নিচ্ছি আমার ভবিষ্যত বুকের বাদিকের আর্মেচার পুড়ে গেছে বহুকাল এখন চোখ জ্বালা কোর্ছে…

তোমার শাদা-কালো ফোটোগ্রাফ, টের পাবার আগে, মন্দার পাহাড়ে লুকিয়ে খাচ্ছিলুম, আঃ, আটকে গেল কন্ঠনভোচরে, নীল বিষ হয়ে ; আমার দুই পা ধরে অসুরেরা আর দুই হাত ধরে দেবতারা, কালসাপ ভেবে মন্হন করতে লাগলো অমৃতের লোভে ; জানতো না ওরা, তুমি…

এই সেই গালফোলা যুবতী, যাকে তার বাবা ডাকে ডাবলিউ রোদের সঙ্গে ষড় করে যে, আমার ছায়াকে ভাঙেচোরে সে সিগ্রেট ফোঁকে বলে চুমু ওর, খাওয়া এক বাসি কার্ড এটিএম পিন ওর দুই চোখে মিচকায়, ইস্তিরি করা মোর ভজনা আমি ছিনু সতেরোশো শতকে,…

মাঝরাতে অবন্তিকার শরীর জুড়ে কতো যে হাত গজিয়ে ওঠেআকাশের অগাধ দূরত্ব টেনে এনে আমাদের মুড়ে ফ্যালেমরুভূমির নরম বালির ঝড়ে আমাদের উড়িয়ে নিয়ে চলেওর সারা শরীরে লিপ্সটিক মাখা নানা রঙের অজস্র ঠোঁটেরআঠায় আমার সঙ্গে রাঙঝাল দিয়ে নিজের বুকে জুড়ে নেয়দেহের আনাচে…