আকাশের জন্য (কবিতা) – অপূর্ব দত্ত
একের পরে দুই ইচ্ছে করে আকাশ তোমায় একটুখানি ছুঁই। তিনের পরে চার সত্যি করে বলো দেখি আকাশ তুমি কার। পাঁচের পর ছয় মা বলেছে আকাশ নাকি সবার বন্ধু হয়। সাতের পরে আট এ নাও আকাশ তোমায় দিলাম ভুবন ডাঙার মাঠ।…
একের পরে দুই ইচ্ছে করে আকাশ তোমায় একটুখানি ছুঁই। তিনের পরে চার সত্যি করে বলো দেখি আকাশ তুমি কার। পাঁচের পর ছয় মা বলেছে আকাশ নাকি সবার বন্ধু হয়। সাতের পরে আট এ নাও আকাশ তোমায় দিলাম ভুবন ডাঙার মাঠ।…
সকাল বেলা ঘুম ভেঙেছে মা বললো শুনো, বাসি মুখে একশো থেকে এক অব্দি গুনো। নয়টা নাগাদ খেলতে যাব, বাবা ডাকলো বুবাই আবুধাবির রাজধানী কি মাস্কাট না দুবাই? স্কুলে গেছি ইংরেজি স্যার হেঁকে বললেন এ ইউ, কেলিডোস্কুপ লেখতে…
‘ক’ লিখতে কলম ভাঙিস, ‘খ’ লিখতে খড়ম চার বচ্ছর এক কেলাসে শুনলে মেজাজ গরম। সারা দুপুর করিসটা কী ? ঘুম নেই তোর চোখে ? এত বকি তবু কি তোর মাথায় কিছু ঢোকে ? এই শুনে রাখ, লাস্ট…
সেই ছেলেটা, প্যান্টে তালি, হাঁটু অব্দি কাদা বই খাতা নেই, ইস্কুলও নেই চালচুলো বনবাদাড়। সেই ছেলেটার বন্ধু পাখি গাছগাছালি আকাশ দুঃখবিহীন দু’চোখ যেন কাজল দিয়ে আঁকা। সেই ছেলে রোজ দাঁড়িয়ে দ্যাখে হাপুসহুপুস রোদে ওর বয়সী বাচ্চারা সব ইস্কুলে যায়,…
ঠিক মনে নেই, তখন বোধহয়, পাঁচ পেরিয়ে ছয়। চতুর্দিকে অচেনা সব গা ছমছম ভয় । মাঝেমধ্যে দাদার খাতা কলম নিয়ে খেলি, বাবা হেসে বলতো… আবার এইসব কোথায় পেলি? মনে আছে— সেবার সরস্বতী পুজোর দিনে, বাবা আনলো শহর থেকে স্লেট…
এই চিঠিটা লেখার কথা ছিল দু-মাস আগে জানোই তো মা লিখতে গেলে খাম-পোস্টকার্ড লাগে। আমি কি আর পোস্টাপিসে একলা যেতে পারি? আমার যাওয়া বলতে কেবল পল্লবীদের বাড়ি। তাও ভাগ্যিস একপাঁচিলে, খুব উঁচু নয়, তাই পাঁচ-ছটা থান-ইট সাজিয়ে টপকে চলে…