দুর্গার দুর্গতি (কবিতা) – ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
দুর্গা মা খুব গেলেন রেগে এসেই এবার বঙ্গে
মানুষ কেন মাতছে এমন আবোল তাবোল রঙ্গে?
চানার ঠাকুর ছানার ঠাকুর
ঠাকুর নানা বস্তুর
চাঁদের ঠাকুর ডালের ঠাকুর
এটা কেমন দোস্তুর?
খবর পেলাম গোবর ডাঙ্গায় গড়িয়ায় আর গোবরায়
মূর্তি আমার হচ্ছে গড়া গুড় মাখানো ছোবড়ায়? ব্যাপার স্যাপার দেখেই ভয়
যায় বেরিয়ে জিভরে
মূর্তি গড়ার উপকরণ কোথাও আখের ছিবড়ে!!
মুড়ির ঠাকুর খুরিড় ঠাকুর
চুরির ঠাকুর
ঝনঝন
বাঁশের ঠাকুর আঁশের ঠাকুর
ঘুরছে মাথা বনবন।
দড়ির ঠাকুর খড়ির ঠাকুর
হাউ ফানি হাউ লাভলি
দেখব কবে ঠাকুর হবে ফুঁচকা আলু কাবলির
এবার আবার হচ্ছে ঠাকুর
ছাতার মতোই ফোল্ডিং পুলিশ আমার মাপছে হাইট
এক হাতে তার কোল্ড ড্রিংক
খিলেনওলা হাত পা কোমর
করছে মোরে ফোল্ডেড দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ আর হার্ট এন্ড সোল্ড হোলডে।
ভাঙছে রেকর্ড গড়ছে রেকর্ড করছে রেকর্ডটাইরে
রেকর্ড দিয়ে সাজাচ্ছে সব
কেউ ভিতরে বাইরে সরস্বতী বললে এসব দারুন শিল্প-কর্ম
মিছেই তুমি রাগছো মাগো
হচ্ছে গলদঘর্ম,
লক্ষী বললে ঠিক বলেছিস শিল্প কি চোখ জুড়ানো
সত্যি মা খুব ব্যাকডেটেড
আইডিয়াটাই পুরনো।
ফ্যান্টাস্টিক কারুকার্য বললে গণেশ কার্তিক তুলনা নেই এসব কাজের
হোক না খরচ আর্থিক।
জ্বলে যাচ্ছে শরীর আমার
বললে অসুর জোরসে আমার দেহ রং করেছে বেটেই লঙ্কা সর্ষে,
মা বললেন যাক যারা চাস
শিল্প নিয়েই মরগে
আমি অসুরের পিঠে চড়েই
ফিরে চললাম স্বর্গে।।