শুন্ছ দাদা! ঐ যে হোথায় বদ্যি বুড়ো থাকে, সে নাকি রোজ খাবার সময় হাত দিয়ে ভাত মাখে? শুন্ছি নাকি খিদেও পায় সারাদিন না খেলে? চক্ষু নাকি আপনি বোজে ঘুমটি তেমন পেলে? চল্তে গেলে ঠ্যাং নাকি তার ভূয়েঁর পরে…
একটি আছে দুষ্টু মেয়ে, একটি ভারি শান্ত, একটি মিঠে দখিন হাওয়া, আরেকটি দুর্দান্ত। আসল কথা দু’টি তো নয় একটি মেয়েই মোটে, হঠাৎ ভালো হঠাৎ সেটি দস্যি হয়ে ওঠে। একটি আছে ছিঁচকাঁদুনি একটি করে ফূর্তি, একটি থাকে বায়না নিয়ে…
প্যাচ কিছু জানা আছে কুস্তির ? ঝুলে কি থাকতে পারাে সুস্থির? নইলে। রইলে ট্রাম না চড়ে, ভ্যাবাচ্যাকা রাস্তায় পড়ে বেঘােরে। প্র্যাকটিস করেছ কি দৌড়ে? লাফিয়ে ঝাপিয়ে, আর ভো-উড়ে? নইলে রইলে লরিতে চাপা, তাড়া করে বাড়ি থেকে বাড়িও না…
চলে হনহন ছোটে পনপন ঘোরে বনবন কাজে ঠনঠন বায়ু শনশন শীতে কনকন কাশি খনখন ফোঁড়া টনটন মাছি ভনভন থালা ঝন ঝন।
‘দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ, দু’টা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ।’ পথে হেঁটে চলি, মনে মনে বলি, পাছে হয় ভুল; ভুল যদি হয়, মা তবে নিশ্চয়, ছিঁড়ে দেবে চুল। ‘দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ, দু’টা পাকা…
অল্পেতে খুশি হবে দামোদর শেঠ কি? মুড়কির মোয়া চাই, চাই ভাজা ভেটকি। আনবে কট্কি জুতো, মট্কিতে ঘি এনো, জলপাইগুঁড়ি থেকে এনো কই জিয়োনো; চাঁদনিতে পাওয়া যাবে বোয়ালের পেট কি? চিনেবাজারের থেকে এনো তো করমচা, কাঁকড়ার ডিম চাই, চাই যে…